আজমিরীগঞ্জ উপজেলার মাছের খ্যাতি সারা দেশ জুড়ে। এখানকার হাওড়গুলোতে প্রচুর মাছ পাওয়া যায়। বোরো আবাদ শেষে কৃষকেরা হাওড়ের বিভিন্ন স্থানে মাছ ধরে। প্রায় সবধরনের মাছই আজমিরীগঞ্জে পাওয়া যায়।
বর্ষাকালে আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। এখানকার কৃষকেরা সারা বছরে একটি ফসল ফলায়। বোরো ধানের পাকা ফসল ঘরে তোলার সাথে সাথে বর্ষ শুরু হয়ে যায়। চারদিক শুধু পানি আর পানি। কৃষকেরা বৃষ্টির দিনগুলো ঘরে বসে বাউল গান, লুডু খেলা, আড্ডাবাজি করে কাটিয়ে দেয়।
আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় হাওরে বর্ষায় গেলে এক ধরনের মজা আর শীতের দিনে গেলে সম্পূর্ণ ভিন্ন এক মজা। বর্ষায় গেলে নৌকাই একমাত্র বাহন। উত্তর-দক্ষিণ আর পূর্ব-পশ্চিম নাই সবদিকেই থৈ থৈ পানি! মাঠ-ঘাট সব পানি আর পানি! ভাটির দেশের প্রকৃত রূপ! হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলা জুড়ে বিস্তৃ সেই অদ্ভূত জলরাশি। বর্ষায় আলাদা করে এখানে হাওর বলে কিছু থাকেনা... সব একাকার! হাওরে পৌঁছালেই দেখবেন গভীর কালচে পানি -- অনকে দূর পর্যন্ত কোন গাছ-গাছালীর উপরাংশ পানির উপরে দেখা যাচ্ছেনা! আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় বর্ষায় মাঠ-ঘাট সব একাকার! বাজার থেকে ঝুড়ি ধরে হরেক রকমের মিশানো তাজা ছোট মাছ পাওয়া য়ায়। আকাশ জুড়ে দেখবেন হরেক রকম মেঘ আর মেঘ। বর্ষায় শুধু সকালটা ছাড়া মোটামুটি সারাদিনই বৃষ্টি! সন্ধ্যায় বৃষ্টি একটু ধরে আসলেও মধ্যরাত থেকে আবারও ঝিরঝির বৃষ্টি!
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস