শ্বাশ্বত বাংলার চির বৈচিত্রের প্রাকৃতিক শোভা সৌন্দর্যকে ধারণ সৃষ্টিকর্তার প্রতি জানায় অশেষ কৃতজ্ঞতা। তাইতো কবি হৃদয় উজাড় করে গেয়েছেন- 'ও ভাই খাঁটি সোনার চেয়ে খাঁটি আমার দেশের মাটি' অথবা একী অপরূপ রূপে মা তোমায় হেরিনু পল্লী জননী। ফুলে ও ফসলে, কাদা মাটি জলে, ঝলমল করে লাবনী॥ ইত্যাদি বহু গান ও কবিতা এ দেশের কবি-সাহিত্যিকদের আবেগে হাজারো গানের সুরেলায় ঝংকৃত করে তোলে হৃদয়ের গভীরে। মনের মাধুরীতে ভরে উঠে প্রতিটি ঋতুর শৈল্পিক বৈচিত্রতা। এমনই রূপ দেখে তাইতো কবি বলেছেন-বাংলার রূপ আমি দেখিয়াছি/ তাই আমি পৃথিবীর রূপ খুঁজিতে যাইনা আর। বাস্তবিক পৃথিবীর রূপ যেন এ আজমিরীগঞ্জেই উপচে পড়েছে।
বর্ষাকালে আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। এখানকার কৃষকেরা সারা বছরে একটি ফসল ফলায়। বোরো ধানের পাকা ফসল ঘরে তোলার সাথে সাথে বর্ষ শুরু হয়ে যায়। চারদিক শুধু পানি আর পানি। কৃষকেরা বৃষ্টির দিনগুলো ঘরে বসে বাউল গান, লুডু খেলা, আড্ডাবাজি করে কাটিয়ে দেয়।
আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় হাওরে বর্ষায় গেলে এক ধরনের মজা আর শীতের দিনে গেলে সম্পূর্ণ ভিন্ন এক মজা। বর্ষায় গেলে নৌকাই একমাত্র বাহন। উত্তর-দক্ষিণ আর পূর্ব-পশ্চিম নাই সবদিকেই থৈ থৈ পানি! মাঠ-ঘাট সব পানি আর পানি! ভাটির দেশের প্রকৃত রূপ! হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলা জুড়ে বিস্তৃ সেই অদ্ভূত জলরাশি। বর্ষায় আলাদা করে এখানে হাওর বলে কিছু থাকেনা... সব একাকার! হাওরে পৌঁছালেই দেখবেন গভীর কালচে পানি -- অনকে দূর পর্যন্ত কোন গাছ-গাছালীর উপরাংশ পানির উপরে দেখা যাচ্ছেনা! আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় বর্ষায় মাঠ-ঘাট সব একাকার! বাজার থেকে ঝুড়ি ধরে হরেক রকমের মিশানো তাজা ছোট মাছ পাওয়া য়ায়। আকাশ জুড়ে দেখবেন হরেক রকম মেঘ আর মেঘ। বর্ষায় শুধু সকালটা ছাড়া মোটামুটি সারাদিনই বৃষ্টি! সন্ধ্যায় বৃষ্টি একটু ধরে আসলেও মধ্যরাত থেকে আবারও ঝিরঝির বৃষ্টি!
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস